বৃহস্পতিবার, ৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১:৫৫

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
নির্বাচনী মৌসুমে আমন নিয়ে বিপাকে পটুয়াখালীর কৃষকরা

নির্বাচনী মৌসুমে আমন নিয়ে বিপাকে পটুয়াখালীর কৃষকরা

dynamic-sidebar

উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতে আমনের বাম্পার ফলন হলেও এখনও সরকার থেকে ধান কেনা শুরু না করায় দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন কৃষকরা। কৃষকদের ভাষ্য সবাই নির্বাচন নিয়ে এত ব্যস্ত যে ধান কেনার বিষয়ে কারও মনযোগ নেই। এভাবে চলতে থাকলে তাদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।

তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারিভাবে ধান কেনা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা বিএম সফিকুল ইসলাম।

গলাচিপার চাষি রফিক প্যাদা জানান, ফলন গত বছরের তুলনায় অনেক ভালো হয়েছে কিন্তু দাম কম। গত বছর প্রতি মণ ধান এক হাজার টাকায় বিক্রি করলেও এ বছর সেই ধান ৫৮০ থেকে ৬২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে খরচের টাকা তুলতেই অনেক কষ্ট হচ্ছে।

কলাপাড়ার বালিয়াতলী এলাকার চাষি রফিক জোমাদ্দার, সফিক ও বেলাল জানান, নির্বাচনের জন্য সরকার বা আড়ৎদাররা ধান কিনছে না। ধান বিক্রি না হলে আমরা বাঁচবো কিভাবে?

তারা আরও জানান, ধান উৎপাদনে যে পরিমাণ খরচ হয় বিক্রি করে সে পরিমাণ আয় হয় না। এভাবে চলতে থাকলে কৃষক মারা যাবে। আজ কৃষকের মুখে হাসির বদলে চোখে পানি আসছে। এখনও মাঠে পাকা ধান পড়ে আছে। কেউ ধান কাটছে না, বাড়ি এনে ফেলে রাখলেতো কেউ ধান কিনবে না।

রাঙ্গাবালী এলাকার চাষি ফোরকান মিয়া জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে রেখেছে। ধানের বাজার মন্দা, কৃষি কাজে লাভ নেই। এরকম চলতে থাকলে আমাদের মারা যাওয়া ছাড়া আর কোনো পথ থাকবে না।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে সার, বীজ ও শ্রমিকের মজুরীসহ এক কড়া জমিতে ধান চাষ করতে সাতশ টাকা খরচ হয়। সরকার ধানের দাম বাড়িয়ে কিনতে শুরু করলে কৃষকরা বেঁচে যাবে।

জানা গেছে, জেলায় চলতি বছর ২ লাখ ২ হাজার ৬০৮ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। এবার গড়ে সাড়ে ৪ থেকে ৫ টন ধান উৎপাদন হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক হৃদয়স্বর দত্ত জানান, গত বছরের তুলনায় এবছর আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। বৈরী আবহাওয়া না হলে নির্বিঘ্নে ধান কাটতে পারবেন চাষিরা।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net